আমাদের ভারত, ৬ অক্টোবর:সরকারি খাতার হিসেব বলছে বিশ্বে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা কম বেশি সাড়ে তিন কোটি। কিন্তু বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে এর চেয়ে অনেক বেশি মানুষ ইতিমধ্যেই মারন ভাইরাসে সংক্রমিত হয়েছেন। শুধুমাত্র উপসর্গ দেখা না যাওয়ায় কিংবা করোনা পরীক্ষা না হওয়ার জন্যই তা প্রকাশ্যে আসেনি। হু-এর আশঙ্কা ইতিমধ্যেই প্রত্যেক ১০ জনের মধ্যে একজনের শরীরেই এই মারন ভাইরাস থাবা বসিয়ে ফেলেছে। অর্থাৎ বিশ্বের ১০ শতাংশ মানুষ এই ভাইরাসের কবলে পড়েছেন।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দাবি অধিকাংশ সংক্রমিত উপসর্গহীন আর সেই জন্যই আক্রান্তের সংখ্যা টা আরো অনেকগুণ বাড়ার সম্ভাবনা থেকেই যাচ্ছে।
জেনেভায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বৈঠকের হু’র জরুরী বিভাগের কর্তা মাইক রায়ান বলেছেন, এই মুহূর্তে বিশ্বব্যাপী আক্রান্তের সংখ্যা ৮০ কোটি হতে পারে। তার দাবি এই মুহূর্তে বিশ্বের প্রায় ১০ শতাংশ মানুষই এই ভাইরাসের কবলে পড়ে থাকতে পারেন। অর্থাৎ বিশ্বের একটা বড় অংশের মানুষ এখনও এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকির মধ্যেই রয়েছেন। ফলে এই মহামারী আরোও ভয়াবহ হবার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই সংক্রমণ কমানোর যা যা উপায় রয়েছে তা আরও জোরদার ভাবে কার্যকরী করতে হবে।
গত বছর ডিসেম্বরে প্রথমবার চিনের উহান প্রদেশে প্রথম এই ভাইরাসের উপস্থিতির খোঁজ পাওয়া যায়। তারপর ধীরে ধীরে গোটা বিশ্বকে গ্রাস করে এই ভাইরাস। স্তব্ধ হয়ে যায় জনজীবন। তারপর থেকে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়তে শুরু করে আক্রান্তের সংখ্যা। অব্যাহত রয়েছে মৃত্যুমিছিলও। সরকারি হিসেবে গোটা বিশ্বে আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় সাড়ে তিন কোটি। মৃত্যু হয়েছে দশ লক্ষেরও বেশি মানুষের। যার সিংহভাগই আমেরিকা, ব্রাজিল, ভারতের। এ বিষয়েবিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ডিরেক্টর জেনারেল ট্রেডোরস আধানম ঘ্রেবেইসুইস বলেছেন, ” বিশ্বের সব দেশেই ভাইরাসের ছড়িয়েছে। কিন্তু মোট আক্রান্তের ৭০% এসেছে মাত্র ১০টি দেশ থেকে। মাত্র তিনটি দেশে অর্ধেক মৃত্যুর জন্য দায়ী।” তার দাবি সবাই একত্রিত হলে সম্ভবত এই ভাইরাস এতটা বড় প্রভাব ফেলতে পারতো না।