এনকাউন্টার! খুশি গোটা দেশ, উৎসবে মেতেছে মানুষ

আমাদের ভারত,৬ ডিসেম্বর:এনকাউন্টার ঠিক ছিল নাকি ভুল ছিল তা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। তবে আপাতত হায়দ্রাবাদ পুলিশকে নিয়ে উচ্ছ্বসিত দেশের নানা প্রান্তের মানুষ।বলা ভালো সকলেই চান এভাবেই গুলি করে মারা হোক ধর্ষকদের।

যদিও পুলিশ ধর্ষণের জন্য এই চার অপরাধীকে কিন্তু গুলি মারে নি। বরং পুলিশ এই ৪ অভিযুক্তকে গুলি করেছে সেখান থেকে পালানো এবং পুলিশের ওপর হামলার কারণে।

এটা ধর্ষণের শাস্তি নয়। পুলিশের হাত থেকে পালিয়ে যাওয়ার শাস্তি। কিন্তু তবুও খুশি সাধারণ মানুষ। কারণ যেখানে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছিল সেখানেই ঐ ৪ অভিযুক্তকে এনকাউন্টার করেছে পুলিশ। আর তা নিয়ে উচ্ছ্বসিত সাধারণ মানুষ। এদিন তেলেঙ্গানা পুলিশের ওপর পুষ্প বৃষ্টি করেছে অসংখ্য সাধারণ মানুষ। এদৃশ্য দেখে ক্ষণিকের জন্য মনে হয়েছে সিংহাম কিম্বা সিম্বা শেষতম দৃশ্য। তেলেঙ্গানার মানুষ রাস্তায় বেরিয়েএসে পুলিশের হাতে রাখি পরিয়েছেন। শুধু হায়দ্রাবাদ নয় এই ঘটনার পর দেশের বিভিন্ন প্রান্তে উৎসব শুরু হয়েছে। রাজ্যের একাধিক জেলায় সাধারণ মানুষ মিষ্টি বিতরণ করেছেন।দিল্লি ও বেনারসে বাজি ফাটিয়ে ধর্ষক মৃত্যুর জন্য আনন্দ করেছে সাধারণ মানুষ।

হায়দ্রাবাদের নির্যাতিতার পরিবার বিনিদ্র রাত কাটাচ্ছে শেষ দশ দিন। এনকাউন্টারের ঘটনায় তারা একটু স্বস্তি পেয়েছে। তরুনীর বাবা বলেছেন অবশেষে আমার মেয়ের আত্মা শান্তি পেল। তেলেঙ্গানা পুলিশ কে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি। তরুণীর বোন বলেন একটা উদাহরণ হয়ে থাকবে।

শুক্রবার ভোররাতের ঘটনা ছাইচাপা আগুনের উত্তাপ কিছুটা হলেও যেন শান্ত করল। মানুষের মুখে মুখে ফিরেছে ধর্ষকদের এমন শাস্তি হওয়া উচিত। বাদ যাননি সেলেবরাও। অভিনেতা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়, দেব শ্রীলেখা মিত্র থেকে গায়িকা ইমন চক্রবর্তী সকলের মুখে একই কথা উচিত শাস্তি হয়েছে ধর্ষকদের।

প্রসেনজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় টুইটে লিখেছেন পুলিশ সঠিক কাজ করেছে। জাস্টিস ডান। তৃণমূল সাংসদ তথা অভিনেতা দেব লিখেছেন, এটাই দরকার ছিল হায়দ্রাবাদ পুলিশকে শুভেচ্ছা। তৃণমূল সাংসদ অভিনেত্রী নুসরাত জাহান লিখেছেন ন্যায়বিচারের জন্য কেউ তো ব্যাটনটা তুলে নিল।

সাত বছর হয়ে গেছে নির্ভয়া কান্ড ঘটে গেছে কিন্তু আজও আইনে গেড়ো আটকে রয়েছে মামলা। তারিখের পর তারিখ পেরিয়েছে। আজও ন্যায্য বিচার পায়নি নির্ভয়া। তার মা আশা দেবী বলেছেন পুলিশ যা করেছে ঠিক করেছে। দয়া করে পুলিশের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেবেন না।

তাই হায়দ্রাবাদ পুলিশ যা করেছে তা ধর্ষকদের শাস্তির জন্য জ্বলন্ত দৃষ্টান্ত। বেশীরভাগই বলেছেন ধর্ষকের এটাই হওয়া দরকার। অনেকেই বলেছেন, যতদিন না পর্যন্ত ধর্ষকদের মনে ত্রাস ঢোকানো যাবে ততদিন তাদের এভাবেই শাস্তি পেতে হবে তাদের।

যদিও ধর্ষকদের শাস্তি মানে এনকাউন্টারতা মেনে নিতে নারাজ অনেকেই। কৌশিক সেনছর মত অনেকেই এসব ক্ষেত্রে বিচারব্যবস্থার অবমাননা করা ঠিক নয় বলে মনে করছেন।

আপনাদের মতামত জানান

Please enter your comment!
Please enter your name here