আমাদের ভারত, ২৪ নভেম্বর:এখনো পর্যন্ত সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আসেনি করোনা। টিকা দেওয়ার পরেও একাধিক দেশে সংক্রমণের চতুর্থ ও পঞ্চম ঢেউ আছড়ে পড়েছে। উৎসবের মরশুমের পর সারাদেশের মতো পশ্চিমবঙ্গেও করোনা গ্রাফ ওঠানামা করছে। গত কয়েক দিনে সংক্রমণের হার কিছুটা কমলেও, কেন্দ্রের দাবি আসলে নমুনা পরীক্ষা কমেছে বলেই রাজ্যে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যাও কমেছে। তাই আজ রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরে চিঠি দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য সচিব রাজেশ ভূষণ। পরীক্ষা কমলে পর্যবেক্ষণ সঠিক পথে এগোবে না, এর ফলাফল ভয়াবহ হতে পারে, তা স্মরণ করিয়ে রাজ্যকে উপযুক্ত পদক্ষেপ করার বলেছে কেন্দ্র।
পরিসংখ্যান তুলে ধরে কেন্দ্র চিঠিতে দাবি করেছে করোনা নমুনা পরীক্ষা অনেকটাই কমেছে রাজ্যে। এর পড়বে প্রভাব পর্যবেক্ষণে। ফলে সংক্রমনের হার নতুনভাবে ভয়ঙ্কর উঠতে পারে বলে উল্লেখ করা হয়েছে চিঠিতে।
কেন্দ্রে তরফে বলা হয়েছে ২২ নভেম্বরের হিসেব অনুযায়ী গত এক সপ্তাহে নমুনা পরীক্ষার গড় আগেকার তুলনায় অনেকটাই কম। ৩০ মে থেকে ৬ জুন পর্যন্ত এক সপ্তাহে পরীক্ষার গড় ছিল ৬৭ হাজার ৬৪৪। সেখানে গত এক সপ্তাহে সেই গড় ৩৮ হাজার ৬০০।
চিঠিতে কোন কোন জেলায় নমুনা পরীক্ষার হার কমেছে তারও উল্লেখ রয়েছে। সেই তালিকায় রয়েছে কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার,হুগলি, মেদিনীপুর।
এদিকে ক্রমশই সচল হয়ে যাচ্ছে সবটা। মানুষের বিভিন্ন দিকে যাতায়াত বাড়ছে সঙ্গে বাড়ছে শীত। তাই এই পরিস্থিতিতে রাজ্যকে আগাম সতর্ক হতে বলেছে কেন্দ্র। গত মাসেও করোনা নিয়ে রাজ্যকে কেন্দ্রে তরফে চিঠি দেওয়া হয়েছিল সেখানেও করোনা পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছিল। কলকাতার কথা সেখানে বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছিল।
মঙ্গলবারে বুলেটিন অনুযায়ী করোনা আক্রান্তের সংখ্যা আবারও ৭০০ পার করেছে। ২৪ ঘন্টায় নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা ৭২০। সোমবারের তুলনায় মৃতের সংখ্যা কিছুটা কম। একদিনে রাজ্যে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ১০ জনের। পুজোর পর থেকে রাজ্যের নতুন করে করোনা সংক্রমণ এর বাড়তে শুরু করেছে।