আমাদের ভারত, ২৭ মে: রাজ্যের জেলায় জেলায় তৃণমূলের নবজোয়ার কর্মসূচি শুরু করেছেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এই দলীয় কর্মসূচির জন্য সাধারণ মানুষের টাকায় হাজার হাজার পুলিশ কেন? তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
বিজিপির রাজ্য সভাপতির কথায়, পুলিশ একটি সরকারি ব্যবস্থা, কিন্তু একটি রাজনৈতিক দলের একজন নেতা দলীয় কর্মসূচিতে এক জেলা থেকে অন্য জেলায় হাজার হাজার পুলিশ কর্মীকে নিয়ে প্রতিদিন ঘুরে বেড়াচ্ছেন। ভূমিকম্পের মতো পুলিশ এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে দৌড়চ্ছে। সে পুলিশ কর্মীদের যাতায়াতের লক্ষ লক্ষ টাকা খরচের যোগান কে দিচ্ছে? তিনি বলেন, পুলিশ কর্মীদের যাতায়াত খরচ তো জনগণের করের টাকায় হচ্ছে। একটি রাজনৈতিক দলের কর্মসূচিতে পুলিশের খরচ কেন সরকার বহন করবে বলে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।
সুকান্ত বলেন, “আমাদের দলের পক্ষ থেকে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এই ব্যাপারে আদালতে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছেন। বাংলার মানুষ জানতে চাইছে যে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক কর্মসূচিতে পুলিশের যাবতীয় খরচ কে বহন করছে? নিয়ম অনুযায়ী দলের পক্ষ থেকে কি পুলিশের খরচ মেটানো হয়েছে?”
প্রসঙ্গত বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী রাজ্য পুলিশের ডিজিকে চিঠি দিয়ে এই প্রশ্নের উত্তর না পাওয়ার কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছেন। ৭ই জুন এই মামলার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।
নীতি আয়োগের বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এখনও পর্যন্ত যাবেন না বলেই জানাগেছে। এই প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার বলেন, নীতি আয়োগ একটি এপেক্স বডি। গোটা দেশ কিভাবে চলবে তার নীতি তৈরি হয় এখানে। আমি মনে করি এই বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর নিজের অথবা তার সিনিয়র কোনো ক্যাবিনেট মন্ত্রীর যাওয়া উচিত। না হলে পশ্চিমবঙ্গের স্বার্থ বিঘ্নিত হবে।” তাঁর অভিযোগ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুধু মাত্র নিজের ভাইপোকে তদন্তের জন্য ডাকা হচ্ছে বলে যাচ্ছেন না। অর্থাৎ রাজ্যের একটি যুবকের কথা ভেবে কোটি কোটি যুবকের ভবিষ্যৎ নিয়ে ছিনিমিনি খেলছেন মুখ্যমন্ত্রী।