রাজেন রায়, কলকাতা, ২ অক্টোবর: কোভিড পরিস্থিতিতে যাতে ছাত্রছাত্রীরা বাড়িতে বসেই পরীক্ষা দিতে পারেন, তার জন্য ঘরে বসেই ‘ওপেন বুক এক্সাম’-এর কথা বলেছিল উচ্চশিক্ষা দফতর। কিন্তু শুক্রবার আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু কলেজে দেখা গেল, পরীক্ষা হল কলেজে পুরনো পদ্ধতিতেই। কলেজের অধ্যক্ষ পূর্ণ চন্দ্র মাইতির কাছে জবাব তলব করল উচ্চ শিক্ষা দফতর ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়।
যদি পরীক্ষার্থীরা নিজেদের মধ্যেই সুরক্ষা দূরত্ব বজায় রেখে তারা পরীক্ষা দিয়েছে। কিন্তু যেখানে বাড়িতে বসেই অনলাইনে ওপেন বুক সিস্টেমে সকলে পরীক্ষা দিচ্ছে সেখানে এই কলেজে কেন বারণ সত্ত্বেও কেন কেন্দ্রে বসে পরীক্ষা সেই নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। এই প্রসঙ্গে এজেসি বোস কলেজের অধ্যক্ষ পূর্ণ চন্দ্র মাইতি জানান, ‘আমাদের কলেজে মলাদা, মুর্শিদাবাদের মত জায়গা থেকে প্রচুর ছাত্র-ছাত্রী পড়াশোনা করে। ওদের ওখানে ইন্টারনেট সমস্যা বা অনেকের কাছেই অ্যান্ড্রয়েড ফোনও নেই। ওরা আমাদের কাছে আবেদন জানিয়েছিল, তাই আমরা কলেজে বসে পরীক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা করেছি।’ তিনি জানান, “ উচ্চশিক্ষা দফতর ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আমার কাছে রিপোর্ট চেয়েছে। আমি যা জানানোর জানিয়েছি। আইনের বিরুদ্ধে বা নিয়মের বাইরে আমি কোনও কিছুই করিনি। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বা সরকারের থেকে এমন কোনও নির্দেশিকা আসেনি যেখানে বলা হয়নি, কলেজে ছাত্র-ছাত্রীদের বসিয়ে পরীক্ষা নেওয়া যাবে না।”
উল্লেখ্য, পূর্ব ঘোষণা মতো ১ অক্টোবর থেকে শুরু হয়েছে চূড়ান্ত বর্ষের পরীক্ষা। বাড়িতে বসেই অনলাইনে পুরোপুরি ইন্টারনেটের ওপর ভিত্তি করেই হচ্ছে পরীক্ষা নেয়ার কথা জানিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী। পরীক্ষা চলবে ১৮ই অক্টোবর পর্যন্ত। বাড়িতে বসেই ওপেন বুক পরীক্ষা দেওয়ার কথা বলা হয় পরীক্ষার্থীদের। আগেই জানানো হয়েছে, দু-ঘন্টায় পরীক্ষার লেখা শেষ করে ১৫ মিনিটের মধ্যে কলেজ প্রদত্ত নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে জমা দিতে হবে।