
স্বরূপ দত্ত, উত্তর দিনাজপুর, ৬ আগস্ট: স্বামীকে পাওয়ার দাবিতে শ্বশুরবাড়ির সামনে ধর্নায় বসলেন স্ত্রী। ঘটনাটি রায়গঞ্জ থানার গৌরী গ্রাম পঞ্চায়েতের নূরীপুর গ্রামের। এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। শ্বশুরবাড়ির পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে এই মহিলার সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই। তবে পঞ্চায়েত সদস্যের দাবি শ্বশুড়বাড়ির লোকেরা মিথ্যা কথা বলছেন।
রায়গঞ্জ থানার নূরীপুরের বাসিন্দা আরসাদ আলী ২০১৯ সালে ১৭ জানুয়ারি ওই গ্রামের বাসিন্দা পারভিনা খাতুনকে দ্বিতীয় বিয়ে করেন। বিয়ের পরে তারা রায়গঞ্জের একটি ভাড়া বাড়িতে থাকতেন। গতমাসে আচমকাই আরসাদ আলী নিখোঁজ হয়ে যান। বহু খোঁজাখুজির পর পারভিনা তার স্বামীকে না পেয়ে শ্বশুড়বাড়িতে হাজির হয়েছিলেন। শ্বশুরবাড়ির লোকেরা বিষয়টি মিমাংসার জন্য ১৫ দিন সময় চেয়ে নিয়েছিলেন। বিষয়টি নিয়ে পারভিনা পঞ্চায়েতেও দ্বারস্থ হয়েছিলেন।
এর পর স্বামীর পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়, তাকে ডিভোর্স করে দিয়েছেন। পারভিনার অভিযোগ, একক সিদ্ধান্তে সরকারিভাবে ডিভোর্স করা যায় না। শ্বশুড়বাড়ি লোকরা তাঁকে জানিয়েছেন যৌথ সাক্ষর করেই ডিভোর্স করা হয়েছে। ডিভোর্সের সরকারি কাগজ পারভিনার হোয়াটসঅ্যাপে পাঠিয়েছে স্বামী আরসাদ।
১৫ দিন পরও সমস্যার সমাধান না হওয়ায় গতকাল রাত থেকে স্বামীর বাড়ির গেটের সামনে ধর্নায় বসেছেন স্ত্রী পারভিনা। আরসাদের দাদা রসিদূর আলম জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরে ভাই বাড়িতে থাকে না। সে কোথায় আছে তার ও কোন খোঁজ নেই। বাড়িতেও ওর কোনও অধিকার নেই। শ্বশুরবাড়ির লোকেরা যাই বলুক সেকথা মানতে রাজী নন পারভিনা। স্বামীকে না পাওয়া পর্যন্ত বাড়ির সামনেই বসে থাকবেন বলে জানিয়েছেন।
গৌরী গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য আয়ুদ্দিন আহমেফের অভিযোগ, মহিলাদের জীবন নিয়ে ছেলেখেলা করাই আরসাদের কাজ। আগেও একটি বিয়ে করেছিল আরসাদ।বিষয়টি নিয়ে তিনি পুলিশের কাছেও অভিযোগ করেছেন।