স্বামীকে খুন করে থানায় আত্মসমর্পণ স্ত্রীর

সায়ন ঘোষ, আমাদের ভারত, বনগাঁ, ২০ মার্চ:
স্বামীকে খুন করে নিজেই থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করল স্ত্রী। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগণার বনগাঁ থানার নেহেরু নগর এলাকায়। পুলিশ জানিয়েছেন, অভিযুক্ত গৃহবধূর নাম শ্যামা দে ওরফে শান্তি।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, নেহেরুনগরের বাসিন্দা শঙ্কর দের প্রথম পক্ষের স্ত্রী বাড়ি ছেড়ে চলে যাওয়ার পর আড়াই বছর আগে শান্তি দেবীকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর থেকেই শান্তির ওপর শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার করত বলে তার পরিবারের অভিযোগ। এমনকি প্রতিনিয়ত তাদের মধ্যে অশান্তি লেগেই থাকত। আর এই কারণে এক বছর আগে শান্তি ওরফে শ্যামাদেবী শঙ্করকে ছেড়ে চলে যায়। কিছুদিন আগে শঙ্কর জোর করে শান্তিদেবীকে বাড়িতে ফিরিয়ে আনেন। ঘটনার দুদিন আগে থেকেই শান্তিদেবীর সঙ্গে লাগাতার অশান্তি হয়। এরপর মদ খেয়ে শান্তিকে বেধড়ক মারধর করে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় অশান্তি চরমে ওঠে। সকাল থেকেই শঙ্কর মদপ্য অবস্থায় শান্তিকে মারধর করে। অতিরিক্ত মদ খেয়ে বেহুঁশ হয়ে যায় শঙ্কর। প্রতিদিনের এই অশান্তি সহ্য করতে না পেরে ধারালো চাকু দিয়ে নিজের স্বামীকে খুন করে। প্রথমে শঙ্করের হাতের শিরা কেটে দেয় শান্তি। পরে গলায় ফাঁস দিয়ে খুন করে বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ। এরপর নিজেই বনগাঁ থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করে এবং খুনের বিস্তারিত ঘটনা পুলিশকে জানায়। বনগাঁ থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শঙ্করের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে। ঘটনা জানাজানি হতেই কান্নায় ভেঙে পড়েন শঙ্করের পরিবারের লোকেরা। তবে ঠিক কি করণে শান্তি এমন ঘটনা ঘটালো তা এখনও স্পষ্ট নয় পুলিশের কাছে। শান্তিকে আটক করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বনগাঁ থানার পুলিশ। ধৃত ওই গৃহবধূকে আজ বনগাঁ মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক সাত দিনের পুলিশি হেফাজতের নির্দেশ দেয়।

আপনাদের মতামত জানান

Please enter your comment!
Please enter your name here