রাজ্যের মানুষ কি গুলি খাওয়ার জন্য রয়েছে? প্রশ্ন দিলীপ ঘোষের

পার্থ খাঁড়া, আমাদের ভারত, ২৫ নভেম্বর:
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মুর্শিদাবাদের নওদায় খুন হন নদীয়ার তৃণমূল নেতা মতিরুল বিশ্বাস। তাকে বোমা মেরে এবং গুলি করে খুন করা হয়েছে। এই ঘটনা তৃণমূলের গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের জের বলে মনে করেন বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব। বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের কথায়, পঞ্চায়েত ভোট যত এগিয়ে আসবে এই ঘটনা আরও বাড়বে। বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষের প্রশ্ন, রাজ্যের মানুষ কি গুলি খাওয়ার জন্য রয়েছে?

নিহত তৃণমূল নেতা মতিরুল বিশ্বাস নদীয়ার বাসিন্দা। তিনি করিমপুর ২ নম্বর ব্লকের তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলের সভাপতি ছিলেন। তাঁর স্ত্রী রিনা বিশ্বাস নারায়ণপুর ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান। বৃহস্পতিবার তিনি মুর্শিদাবাদের নওদা থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। সেই সময় তিনি খুন হন। জলঙ্গির ফেরিঘাটের কাছে পৌঁছতেই দুষ্কৃতীরা তাকে লক্ষ্য করে তিনটি বোমা ছোড়ে। আহত অবস্থায় তিনি দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু দুষ্কৃতীরা তাকে পিছন থেকে পয়েন্ট ব্ল্যাংক রেঞ্জ থেকে গুলি করে হত্যা করে।

এই ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে প্রশ্ন ছুড়ে দিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি তথা মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, রাজ্যের মানুষ কি গুলি খাওয়ার জন্য রয়েছে? রোজই বোমা পড়ছে, রোজই গুলি চলছে। দুষ্কৃতিদের আড্ডাখানা হয়ে গেছে পশ্চিমবঙ্গ। যারা চোর ডাকাত তারাই টিএমসি পার্টির নেতা, নিজেরাই মারামারি করছে। অন্য রাজ্যের দুষ্কৃতীরাও এখানে চলে এসেছে, কারণ এটা নিরাপদ আশ্রয়। পুলিশ তাদের গায়ে হাত দেয় না। আমার মনে হয়, সরকারেরও ক্ষমতা নেই ওদের কন্ট্রোল করার।

এ প্রসঙ্গে সুকান্ত মজুমদার বলেন, আমি আগেই ভবিষ্যতবাণী করেছিলাম, পঞ্চায়েত ভোট যত এগিয়ে আসবে ততই তৃণমূলের মধ্যে এই ধরনের ঘটনা ঘটবে। আসলে পঞ্চায়েত নির্বাচনে জেতা মানে লুট করার সার্টিফিকেট পাওয়া। স্বার্থ এবং অর্থনীতি যেখানে থাকবে সেখানে এই ঘটনা ঘটবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *