
আমাদের ভারত, উত্তর দিনাজপুর, ১২ মার্চ: দোলের দিন নিজের এলাকায় আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে বাসিন্দাদের ভয় দেখানো ও ছিনতাইয়ের ঘটনায় স্বামীকে সঙ্গ দিয়েছিলেন স্ত্রী। সেই অভিযোগে ওই বধূকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃত ওই মহিলাকে বৃহস্পতিবার রায়গঞ্জ জেলা আদালতে তোলা হয়।
অভিযুক্ত পলি মিত্রকে বুধবার গ্রেফতার করে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ। অভিযোগ, পাড়ার বসন্ত উৎসবের অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার কারনে মঙ্গলবার রায়গঞ্জের ২নং ওয়ার্ডে দক্ষিণ সুদর্শনপুর ও সেবক পল্লি এলাকায় স্থানীয়দের বাড়ি বাড়ি গিয়ে হামলা চালায় তাতন মিত্র নামে এক যুবক। এলাকাবাসীরা ওই বসন্ত উৎসবে যোগ দেওয়ায় তাদের নানাভাবে হুমকি দিতে থাকে বলে অভিযোগ। শুধু তাইই নয়, দলবল সহ বেশ কয়েকজন বাসিন্দার বাড়িতে ঢুকে ওই দুষ্কৃতি অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ এমনকি মহিলাদের শ্লিলতাহানী করে বলে অভিযোগ। সেই সময় স্বামীর সাথে তার স্ত্রীও এলাকার কিছু মহিলাদের ওপর আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় বলে অভিযোগ।
দিনেরপর দিন ওই এলাকায় দুষ্কৃতিদের বাড়বাড়ন্ত রুখতে প্রতিবাদে ফেটে পড়েন স্থানীয়রা। মঙ্গলবার সস্ত্রীক তাতন মিত্র ও তার দলবলের এই হামলার সময় এলাকার মহিলারা ক্ষিপ্ত হয়ে তাদের ধরে ফেলে। শুরু হয় মারধর। খবর পেয়ে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে সে সময় তাতন মিত্র ও তার স্ত্রী কোনও রকমে পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা উত্তম-মধ্যম দিয়ে এক অভিযুক্তকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
এদিকে মঙ্গলবার রাতেই রায়গঞ্জ থানা এবং রায়গঞ্জ পুলিশ জেলার সুপার সুমিত কুমারের কাছে সংঘবদ্ধভাবে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন দক্ষিণ সুদর্শনপুর ও সেবকপল্লির বাসিন্দারা। বাসিন্দাদের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে বুধবার বিকেলে পলি মিত্র নামে ওই মহিলাকে গ্রেফতার করে রায়গঞ্জ থানার পুলিশ। জানা গেছে, ধৃতদের বিরুদ্ধে ৩০৭, ৫০৬/৩৪ আইপিসি, ২৫/২৭, ৩৫৬, ৩২৩, ৩৮৭, ৪৪৮ ধারায় খুনের চেষ্টা, আগ্নেয়াস্ত্র, হুমকি সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ। ধৃতকে এদিন রায়গঞ্জ জেলা আদালতে তোলা হয়।
তবে মুল অভিযুক্ত তাতন মিত্র পলাতক বলে জানিয়েছে পুলিশ। পাশাপাশি ওই ঘটনায় এলাকাবাসীদের মারধরে আহত পৃথ্বীশ সাহা পুলিশি নজরদারিতে রায়গঞ্জ মেডিকেলে চিকিৎসাধীন। এদিন রায়গঞ্জের পুলিশ সুপার সুমিত কুমার জানিয়েছেন, “ধৃতদের বিরুদ্ধে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ভয় দেখানো, তোলাবাজি সহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে। মুল অভিযুক্ত এখনো পলাতক। আমরা খোঁজ শুরু করেছি। তদন্ত চলছে।”