
আমাদের ভারত, হাওড়া, ২৭ ফেব্রুয়ারি: বাগনানের এন ডি ব্লকের বাসিন্দা নবম শ্রেণির ছাত্রী ঈশিতা দত্ত খুনের ঘটনায় বৃহস্পতিবার উলুবেড়িয়া আদালতের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক রতন কুমার দাস অভিযুক্ত সুস্মিতা মন্ডলকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং সুস্মিতার স্বামী মহিতোষ মন্ডলকে এক বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন।
ঘটনা সম্পর্কে সরকারি আইনজীবী মনীশ কুমার চাউলে জানান, ২০১৮ সালের ২৫ শে জুলাই বিকেলে ঈশিতা পড়তে যাওয়ার নাম করে বাড়ি থেকে বের হলেও পড়তে না গিয়ে সুস্মিতার সঙ্গে তার নবাসনের বাড়িতে চলে যায়। এদিকে রাতে প্রাইভেট টিউটরের কাছ থেকে মেয়েকে আনতে এসে মিঠু দত্ত জানতে পারেন ঈশিতা সুস্মিতার সঙ্গে তার বাড়িতে গেছে। পরে তিনি ফোনে সুস্মিতাকে জিঞ্জেস করলে সে বলে ঈশিতা তার কাছেই আছে। যদিও রাতে ঈশিতা বাড়ি না ফেরায় ফোনে সুস্মিতার সঙ্গে যোগাযোগ করলেও তার ফোন বন্ধ থাকায় রাতে মিঠু দত্ত বাগনান থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে।
অন্যদিকে পরেরদিন নবাসন থেকে মিঠু দত্তকে জানানো হয় সুস্মিতার ঘরের দরজায় তালা দেওয়া থাকলেও জানালার ফাঁক দিয়ে ঘরের মধ্যে দড়ি দিয়ে বাঁধা দুটি পা দেখা যাচ্ছে। পরে বাগনান থানার পুলিশ নবাসনে গিয়ে ঘরের ভিতর থেকে ঈশিতার মৃতদেহ উদ্ধার করে।
সরকারি আইনজীবী জানান ঘটনার দিন সুস্মিতা ও তার নাবালক ছেলে নবাসন থেকে পালিয়ে কলকাতায় মহিতোষ বাবুর কাছে চলে যায়। পরে তিনজন চেন্নাই পালিয়ে যায়। ঘটনার কয়েকদিন পর পুলিশ মহিতোষের ফোনের টাওয়ার লোকেশন ট্র্যাক করে চেন্নাই’য়ের একটি হোটেল থেকে তিনজনকে গ্রেফতার করে। দুজনের বিচার আদালতে চললেও নাবালকের বিচার জুভিনাইল আদালতে চলছে। তিনি বলেন, বিচারক বুধবার দুজনকে দোষী সাব্যস্ত করার পর বৃহস্পতিবার সাজা ঘোষণা করেন।