আমাদের ভারত, ২৩ জুলাই:
তথ্য প্রযুক্তি ও তথ্য প্রযুক্তি সহায়ক শিল্পের কর্মীরা জুলাই পর্যন্ত বাড়ি থেকে কাজ করবেন বলে আগেই ঠিক হয়েছিল। কিন্তু দেশের এই উদ্বেগজনক করোনা পরিস্থিতিতে টেলিকম দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত এই ছাড় দেওয়া হবে। তথ্যপ্রযুক্তি কর্মীরা বাড়ি থেকেই কাজ করতে পারবেন এই বছর।
টেলিকম দফতরের তরফে বলা হয়েছে, দেশে করোনা পরিস্থিতি উদ্বেগজনক তাই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি আইটি কর্মীদের ছাড়ের মেয়াদ ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বৃদ্ধি করার। এই সিদ্ধান্তে খুশি তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থাগুলি।
উইপ্রোর চেয়ারম্যান প্রেমজি জানিয়েছেন, ‘এখন কাজের পদ্ধতি বদলে ফেলতে হচ্ছে। সে ক্ষেত্রে প্রথম থেকেই সরকার আমাদের সাহায্য করেছে। তাই সরকারকে আমরা ধন্যবাদ জানাচ্ছি’।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ভারতের তথ্যপ্রযুক্তি শিল্প বহুদিন ধরে সরকারের কাছে আর্জি জানাচ্ছিল স্থায়ীভাবে বাড়ি থেকে কর্মীদের কাজ করার অনুমতি দেওয়া হোক। তারা চান কয়েকজন কর্মী অফিসে এসে কাজ করুক আর বাকিরা সবাই বাড়িতে বসেই নিজেদের কাজ করুক। এর ফলে অফিসের পেছনে যে খরচ হয় সংস্থার তা অনেকটাই কমে যাবে। আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ওয়ার্ক ফ্রম হোমের ছাড় দেওয়ার পরে ন্যাসকমের সভাপতি দেবযানীর ঘোষ সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
করোনা মহামারীর ফলে অন্যান্য শিল্পের মতো তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পও ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। যেকোনো সময় যেকোনও রকম পরিস্থিতি হতে পারে। আইএমএফ বলেছে ২০২০ সালে মোট জাতীয় আয় কমবে ৪.৫%। একথা স্বীকার করেছে অর্থ মন্ত্রক ও রিজার্ভ ব্যাংকও। বাজারে চাহিদা ও যোগানের ব্যাপক সংকট দেখা গেছে। অর্থ মন্ত্রকের তরফে বলা হয়েছে প্রতিষেধক না থাকায় বাজারে ব্যাপক অস্থিতিশীলতা তৈরি হচ্ছে। অর্থনীতি আগের অবস্থায় ফিরবে কিনা তা নির্ভর করছে আমরা এখন কি পদক্ষেপ নেব তার ওপর। সরকার ও রিজার্ভ ব্যাংক বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছে। চেষ্টা হচ্ছে অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার। মার্চ মাসেই সরকার বুঝেছিল, অর্থনীতির গতি ধীর হবে। সেই জন্যেই অর্থনীতির পরিকাঠামোয় বেশ কয়েকটি জনকল্যাণমুখী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এর ফলে অর্থনীতিতে নতুন সুযোগ তৈরি হবে। আত্মনির্ভর ভারত নামে একটি প্যাকেজ সরকার অর্থনীতিকে চাঙ্গা করার উদ্দেশ্যেই এনেছে।