
পার্থ খাঁড়া, আমাদের ভারত, পশ্চিম মেদিনীপুর, ২৬ জানুয়ারি: সারা রাজ্যের সঙ্গে আজ সাড়ম্বরে পশ্চিম মেদিনীপুরেও পালিত হল বাগদেবীর পূজা। মেদিনীপুর শহরের ঐতিহ্যমণ্ডিত সরস্বতী পূজা হয় মেদিনীপুরের কলেজ স্কোয়ারে। যেখানে পুজো দেখতে ভিড় জমায় হাজার হাজার মানুষ। ৫ থেকে ৮০ সকল বয়সের মানুষের মিলন মেলার রূপ নেয় এই কলেজ স্কোয়ার। একদিকে যেমন রাজনৈতিক ব্যাঙ্গচিত্র, অন্যদিকে তেমনি সারিসারি পুজোই জেলার মানুষকে আকর্ষণ করে এখানে আসতে। সারাদিন ধরেই জনসমাগমের মধ্যে দিয়ে কাটে কলেজ স্কোয়ারের সরস্বতী পুজো।
বাঙালির প্রথম প্রাণের বৃহত্তম উৎসব যদি দুর্গোৎসব হয় তবে নিঃসন্দেহে বলা যায় দ্বিতীয় প্রেমের উৎসব তথা বাঙালির ভ্যালেন্টাইন ডে হচ্ছে স্বরস্বতী পুজো।
আর মেদিনীপুর কলেজ স্কোয়ারের সরস্বতী পুজোর আবেগই আলাদা মাত্রা এনে জেলাবাসীকে। এখানে পুজোর ঘনঘটা যত না থাকে তার চেয়ে বেশি আকর্ষণ করে রাজনৈতিক দলগুলোর ছাত্র শাখা পরিচালিত পুজোর প্যান্ডেলের ব্যাঙ্গচিত্র।
যেমন বিজেপি নেতা রমা গিরির পূজো “গরিমা”তে দেখানো হয়েছে বাংলার শিল্পের বেহাল দশা। দেখানো হয়েছে কোটিপতি হওয়ার সহজ উপায়। আর এক বিজেপি নেতা শুভজিৎ রায় তথা বান্টির পুজোয় কেন্দ্রীয় সরকারের সাফল্য তুলে ধরার পাশাপাশি রাজ্য সরকারের বিভিন্ন বিষয়ের সমালোচনা করা হয়েছে।
অন্যদিকে কংগ্রেসের ছাত্র শাখা ছাত্র পরিষদ পরিচালিত “প্রগতী”র পুজোয় আবার রাহুল গান্ধীর ভারত জোড়ো কর্মসূচিকে সমর্থনের পাশাপাশি রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষা মন্ত্রী পার্থ এবং অনুব্রতর জেল প্রসঙ্গে বলা হয়েছে এরা হলো চুনোপুঁটি, আসল মাথা হাওয়াই চটি।
আবার তৃণমূল ছাত্র পরিষদ পরিচালিত “আরিয়ান্স” এর পুজোয় বঙ্গ বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। শীতের আমেজ না থাকায় সকাল থেকেই আকাশ পরিষ্কার থাকায় কলেজ স্কোয়ারে ঢল নামে কচিকাঁচা থেকে আবালবৃদ্ধবনিতাদের। সব মিলিয়ে একরকম প্রেম ভালবাসা, পূজার্চনা, খাওয়া দাওয়া, বেড়ানোর মধ্যে দিয়ে আনন্দে কাটে বাঙালির ভ্যালেন্টাইন ডে।