তৃণমূলকে ভোট দিয়ে জেতানোর জন্য আপনাদের একটু পস্তাতে হবে: জয়

আমাদের ভারত, হাওড়া, ২৪ জুলাই: আমি জানি না আপনারা আপনাদের সাংসদকে একবারও চোখে দেখেছেন কিনা? আমাকে এখনো অনেকে বলে দাদা সাংসদকে ভোট দিয়ে আমাদের অনেক ভুল হয়ে গেছে। আপনার মত মানুষকে গায়ের ছেলে হিরুকে আমরা চিনতে পারলাম না। আমি বলি, আর সেই জন্য আপনাদের একটু পস্তাতে হবে। তবে যদি আপনারা শোধরাতে চান তাহলে বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপিকে ভোট দিয়ে নিজেদের শুধরে নিন। বুধবার বিকেলে উলুবেড়িয়া দক্ষিণ বিধানসভার ধুলাসিমলায় বিজেপির এক অনুষ্ঠানে এসে এই কথা বলেন বিজেপি নেতা জয় বন্দ্যোপাধ্যায়।

এদিন জয় বলেন, এলাকার মানুষকে অনেক লোভ দেখিয়ে কংগ্রেস রাজত্ব করে গেছে, অনেক লোভ দেখিয়ে সিপিএম ৩৪ বছর রাজত্ব করে গেছে, আর দিদি তো আপনাদের গাছে চড়িয়ে দিয়েছেন। কিন্তু দিদি রাজত্বে কোনও মানুষের মনে আনন্দ সুখ নেই। জয় বলেন, তৃণমূলের আমলে রাজ্যে সংখ্যালঘুরা বঞ্চিত। এই আমলে একটাও ভালো খেলোয়াড় এমনকি সিনেমার নায়ক নায়িকা হয়নি। তৃণমূল সংখ্যালঘুদের ব্যবহার করেছে বলেও অভিযোগ করেন জয় বন্দ্যোপাধ্যায়।

জয় বলেন রাজ্যের মানুষ সকলের পরীক্ষা নিয়েছে, এবার একবার বিজেপির পরীক্ষা নিক। বিজেপিকে একবার পরীক্ষায় বসতে দিন, দেখুন বিজেপি কত নম্বর পায়। যদি ফেল করে তাহলে তাড়িয়ে দেবেন। চাবি তো আপনাদের কাছেই আছে। আর সেই কারণেই বিজেপিকে একবার  সুযোগ দিতে হবে বলে সকলের কাছে অনুরোধ করেন জয়। তিনি বলেন, লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যের যে কোনো একটি ভালো জায়গা থেকে দাঁড়িয়ে তিনি জিতে আসতে পারতেন। কিন্তু উলুবেড়িয়াকে ভালোবাসার কারণেই তাঁকে বারেবারে ছুটে আসতে হয়। জয় বলেন, বিধানসভা নির্বাচনে সমস্ত সমীক্ষাই দেখাচ্ছে উলুবেড়িয়ার ৮টি আসনেই বিজেপি হারছে, কিন্তু তাসত্বেও শুধুমাত্র উলুবেড়িয়ার মানুষের মুখ দেখে আমি নির্বাচনটিকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছি এবং আমার আশা আমি এই চ্যালেঞ্জ জিতব। এদিন বিজেপি নেতা বলেন, জীবনে আমি সব কিছু পেয়েছি এখন আর আমার পাওয়ার কিছু নেই, এখন শুধু দেওয়ার আছে। আর যদি আপনারা বিজেপিকে যেতান তাহলে সবকিছু পাবেন।

এদিনের এই অনুষ্ঠানে প্রায় শতাধিক তৃণমূল কর্মী বিজেপিতে যোগ দেয়। এদিন যোগ দেওয়া কর্মীদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন জয় বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন এই অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিজেপি নেত্রী পাপিয়া মন্ডল সহ অন্যান্যরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *