সুশান্ত ঘোষ, আমাদের ভারত, উত্তর ২৪ পরগনা, ৩ ফেব্রুয়ারি: খামার থেকে মুরগি চুরি করত প্রতিবেশী। তার প্রতিবাদ করায় খামারের মালিককে কুপিয়ে খুন করল প্রতিবেশী এক যুবক। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ন’টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ থানার কালিতলা ঘোষপাড়া এলাকায়। খুনের অভিযোগ অস্বীকার করেছে অভিযুক্ত। খুনের কারণ খতিয়ে দেখতে তদন্তে নেমেছে পুলিশ। এই ঘটনায় এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
মৃত যুবকের নাম শ্যামল সরকার (৩১)। স্থানীয় বিল্ডার্সের দোকানে কাজ করত। পাশে তার জমিতে মুরগির খামার করেছিল শ্যামল। অভিযোগ, প্রতিবেশী দেবব্রত হালদার তাকে খুন করেছে। ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে তাকে। খুনের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ন’টা নাগাদ পাশের একটি মুরগির ফার্ম থেকে বাড়ি যাবে বলে রওনা দেয় শ্যামল৷ বেশ কিছুক্ষণ পর এলাকার লোকজন জানতে পারে দেবব্রত হালদারের বাড়ির উঠোনে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে শ্যামল। খবর পেয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁকে উদ্ধার করে বনগাঁ মহাকুমা হাসপাতালে ভর্তি করে৷ কিছুক্ষণ বাদে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে। খুনের তদন্তে ঘটনাস্থলে আসে বনগাঁ থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী।
পরিবারের অভিযোগ, খামার থেকে মুরগি চুরি করত অভিযুক্ত দেবব্রত হালদার। তাকে বারণ করতে মঙ্গলবার সন্ধেয় তাদের বাড়িতে গিয়েছিলেন শ্যামল সরকার। তখনই দেবব্রতর পরিবারের সদস্যরা মিলে তাকে বেধড়ক মারধর করে, এরপর ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপায় বলে অভিযোগ শ্যামলের পরিবারের। পরে দেবব্রতর পরিবারের সদস্যরাই তাকে ভ্যানে তুলে বনগাঁ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়।
অভিযোগ অস্বীকার করে অভিযুক্তের পরিবারের দাবি, এক অজ্ঞাত পরিচয় দুষ্কৃতী এসে শ্যামলের উপর চড়াও হয়। তাঁকে জখম অবস্থায় রাস্তায় পড়ে থাকতে দেখে তুলে আনেন দেবব্রতর পরিবারের সদস্যরা। তদন্তে নেমে অভিযুক্ত দেব্রতকে গ্রেফতার করেছে বনগাঁ থানার পুলিশ। দেবব্রত অভিযোগ স্বীকার করে নিয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।