
স্নেহাশীষ মুখার্জি, আমাদের ভারত, নদিয়া, ১২ ফেব্রুয়ারি: নদিয়ার শান্তিপুরের হরিপুরের এক প্রত্যন্ত গ্রামে ১৮৮৭ খ্রিস্টাব্দে কবি যতীন্দ্রনাথ সেনগুপ্তের জন্ম হয়। জন্মসূত্রে হরিপুরের এই গ্রামেই ছিল কবি যতীন্দ্রনাথ সেনগুপ্তের আদি বাড়ি। ১৯৫৪ খ্রিস্টাব্দে কবি দেহ রাখেন। বর্তমানে এই বাড়ির অস্তিত্ব সংকটে। অভিযোগ উঠছে বেদখলের। প্রতিবাদ করলে আসছে হুমকি।বারংবার স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধানকে কবি যতীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত স্মৃতি রক্ষা কমিটির পক্ষ থেকে দৃষ্টি আকর্ষণ করা সত্ত্বেও সুরাহা মেলেনি এখনো। তাই পুনরায় প্রশাসনের দ্বারস্থ স্মৃতি রক্ষা কমিটি।
কবি যতীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত বাঙালি কবিদের মধ্যে অন্যতম। তাঁর জন্ম ১৮৮৭ সালে এবং মৃত্যু ১৯৫৪ সালে। জন্ম নদিয়ার শান্তিপুর থানার হরিপুর গ্রামে। বর্তমানে কার্যত বেদখল তাঁর জন্মভিটা। শুধু অবশিষ্ট মাত্র তার নামে লেখা রয়েছে একটি ফলক। যেটুকু জন্মভিটা ছিল সেটিও বেদখল করে রাখার অভিযোগ। স্থানীয় বাসিন্দারা প্রশাসন থেকে শুরু করে জনপ্রতিনিধিদের একাধিকবার জানিয়েছেন যাতে তাঁর জন্ম ভিটেটুকু রক্ষা করা যায়। কিন্তু লাভের লাভ কিছু হয়নি। জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে রয়েছে কবি যতীন্দ্রনাথ সেনগুপ্তের শেষ স্মৃতি টুকু। যদিও স্থানীয় বিডিওকে অভিযোগ জানানোর পর কবি যতীন্দ্রনাথ সেনগুপ্তের কর্মস্থল পরিদর্শনে যান বিডিও সুমন দেবনাথ। তিনি স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলেন।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, অবিলম্বে যাতে কবি যতীন্দ্রনাথ সেনগুপ্তের জন্মভিটাতে একটি আবক্ষ মূর্তি স্থাপন করা যায় এবং একটি লাইব্রেরীর ব্যবস্থা করা যায়। যদিও সুমন দেবনাথ বলেন, যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ এবং যারা অভিযোগ করেছে আমরা উভয়ের সঙ্গে কথা বলেছি। ওদের লাইব্রেরী নিয়ে দাবি রয়েছে আমরা চেষ্টা করবো ওখানে যেন যতীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত স্মৃতির উদ্দেশ্যে একটি লাইব্রেরী এবং একটি আবক্ষ মূর্তি স্থাপন করা যায়। জমি বেদখলের বিষয়টিও তদন্ত করে দেখছে শান্তিপুর বিডিও।