
আমাদের ভারত, ঝাড়গ্রাম, ২৯ মার্চ:করানোর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সমস্ত মানুষকে কেন্দ্রীয় সরকারের পাশে দাঁড়ানোর আবেদন জানালেন প্রাক্তন আইপিএস ভারতী ঘোষ। রবিবার মেদিনীপুর শহরে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়ায় মানুষের এই ঘরে থাকার বিষয়টিকে বন্দি হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্তু এটা মোটেই বন্দি নয়, এটা নিজেদের সুরক্ষা। যখন মহাঝড় ওঠে তখন বাঁচার জন্য নিজেদের সুরক্ষা হিসেবে দরজা জানলা বন্ধ করে আমরা ঘরের মধ্যে থাকি, নিজেদের সুরক্ষিত রাখি। একইভাবে এই করোনা ঝড়ের বিপর্যয় থেকে নিজেদের রক্ষা করতে এবং এই মহাযুদ্ধে নিজের দেশকে জেতাতে আমাদের ঘরের মধ্যে সুরক্ষিত থাকতে হবে। কারগিলের থেকেও এই যুদ্ধ অনেক বড়, তাই ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলছেন বাড়িতে থাকুন’ সুরক্ষিত থাকুন, তাতে সবাই বাঁচবেন।
ভারত এর আগেও এরকম ভাবে স্মলপক্স এবং পোলিওর বিরুদ্ধে লড়াই করে জিতেছে। করানা সংক্রমণ প্রতিরোধে ভারত সরকার এক লক্ষ সত্তর কোটি টাকার প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। সেই প্যাকেজ যথাযথভাবে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দেবার জন্য ভারতী ঘোষ রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন জানান। তিনি বলেন, প্রতিদিন বহু দুঃস্থ মানুষ, পৌরসভার ঝাড়ুদার , সাংবাদিক এবং পুলিশকর্মীরা কাজ করে যাচ্ছেন প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে। এদের জন্য করোনা সুরক্ষা বীমা করা রাজ্য সরকারের একান্ত কর্তব্য। তিনি আরো বলেন, এদেশের বেশিরভাগ মানুষ গ্রামে বসবাস করেন। যারা বাইরে কাজ করেন এরকম প্রায় পঁয়ত্রিশ হাজার মানুষ এরাজ্যে এসেছেন। তাদের কোয়ারেন্টাইনে সঠিকভাবে রাখা হয়েছে কি না সেটা রাজ্য সরকারের বিশেষভাবে দেখা দরকার। তাদের আলাদা রাখতে এখন ছুটি থাকা স্কুল কলেজ হোটেল এবং আইলা সেন্টার গুলিতে কোয়ারেন্টইনের ব্যবস্থা রাজ্য সরকার করতে পারলে সবথেকে ভালো হয়।
ভারতী ঘোষ বলেন, দাসপুর এলাকার কয়েক হাজার মানুষ দিল্লি মুম্বাই সহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় সোনার কাজ করে। তারা বাড়ি ফিরতে চাইছে। রাজ্য সরকারের উচিত তাদের আশ্বস্ত করে সেখানে তাদের যাতে কোনও অসুবিধা না হয় সেজন্য টাস্কফোর্স গঠন করে তদারকি করা। এছাড়াও রাজ্যের হাজার হাজার গর্ভবতী মহিলাদের জন্য রাজ্য সরকার একটি হেল্প লাইন খুলেছে, কিন্তু একটি হেল্পলাইনে হাজার হাজার গর্ভবতী মহিলা কিভাবে তাদের পরিষেবা নিতে পারবে? এজন্য জেলায় জেলায় টাকার জন্য আলাদা টাস্কফোর্স করতে হবে রাজ্য সরকারকে। ভারতী দেবী বলেন, দেশের এই সংকট কালে সরকারি স্বাস্থ্যবিধি মেনে মানুষ এগিয়ে আসছে, রাজ্য সরকারের উচিত তাদের পাশে গিয়ে দাঁড়ানো।