আমাদের ভারত, পূর্ব মেদিনীপুর, ৫ ডিসেম্বর: মনে যদি শান্তি থাকে ভগবানের ওপর যদি বিশ্বাস থাকে, মানুষের জন্য যদি কাজ করে, সে এরকম তরতাজা থাকবে। দেখুন প্রধান মন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। আর দিদিমণির যেন আমড়া আঁটির মত চেহারা হয়েছে। রামনগরের কিষান মোর্চা সমাবেশ সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে কথাগুলি বলেছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি আরও বলেন, কেন সবসময় দুশ্চিন্তা করেন। ২০১৪ সালে ভোটের আগে যখন মোদীজি এরাজ্যে এসেছিলেন তখন দিদিমণি বলেছিলেন, কোন হরিদাস পাল এসেছেন কোমরে দড়ি বেঁধে জেলে ঢোকাব। দশ বছর পর দিদিমণি এখন বলছেন আমাকে জেলে পাঠিয়ে দিন। জেল থেকে দলকে জিতিয়ে দেব, লালুপ্রসাদের মত। দিলীপ ঘোষ আরও বলেন, দিদিমণির অনেক ভাইরা জেল থেকে ঘুরে এসেছে। বাকিরা ওয়েটিং লিস্টে আছে। রোজ সিবিআই দপ্তরে ডাক পড়ছে। কে কে যাচ্ছে কে কে ফিরে আসছে, কে কখন আটকে যাবে কেউ জানে না। তাই দিদিমণি ভয় পেয়েছেন।
দিলীপ ঘোষ আরও বলেন, আমার নামে ৪০টা কেস আছে। আমি জেলের ভয় পাই না। কোনও বাপের বেটার হিম্মত নেই দিলীপ ঘোষের গায়ে হাত দেয়। কারোর পকেট থেকে এক কানা পয়সা নিইনি।
যারা ২৪ ঘন্টা লোককে টুপি পরাচ্ছে। লোকের পয়সা মারছে, লুটপাট করছে তাদের তো জেলে যাওয়ার ভয় হবেই।
আমফানের পরের দিন রাজ্যে এসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী। কোনও প্রধানমন্ত্রী আজ পর্যন্ত আসেনি দেখতে। দিদিমণিকে নিয়ে হেলিকপ্টারে চড়ে দেখলেন কি কি ক্ষতি হয়েছে জেলায়। ফিরে যাওয়ার সময় রাজ্যকে এক হাজার কোটি টাকা দিয়ে গেলেন। দিদিমণি আমফান ঝড়ের কুড়ি হাজার করে টাকা গরিবের অ্যাকাউন্টে সবাইকে দেবে বলে ঘোষণা করলেন। সেই মতো সবাই গিয়ে ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট চেক করছে কিন্তু টাকা কারোর অ্যাকাউন্টে যায়নি। কোথায় গেলে টাকা। টাকা ঢুকেছে দিদিমনির ভাইপো তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান, পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য, জেলা পরিষদ সদস্য ও তার বউ তার ভাগ্না- শালা- আত্মীয়- স্বজন ওদের নামে। ধরা পড়তেই চেঁচামেচি শুরু হল। দিদিমণি বলল ভুল করে টাকা চলে গেছে। দিলীপ ঘোষ এইভাবেই মঞ্চ থেকে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করে বক্তব্যগুলি করেন।