আমাদের ভারত, ব্যারাকপুর, ১৭ মে: তৃণমূলের গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের জেরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ল
টিটাগড়ে। টিটাগড় টাটাগেট এলাকায় বিবেকনগর এলাকার দখল কার হাতে থাকবে তাই নিয়ে ঝামেলার জেরে ভাঙ্গচুর করা হয় ওই এলাকার দুটি দোকানে। এলাকায় গন্ডগোলের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে খড়দহ থানার পুলিশ। উত্তেজনা নিয়ন্ত্রনে আনতে গ্রেফতার করা হয়েছে দুই পক্ষের পাঁচজনকে।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, টিটাগড় পৌর সভার ১৭ নং ওয়ার্ড এবং ২৩ নং ওয়ার্ডের দুই কাউন্সিলরের মধ্যেকার জামেলার জেরেই এই গণ্ডগোল। গত কাল থেকেই দুই গোষ্ঠীর মধ্যে এলাকা দখল নিয়ে গণ্ডগোল শুরু হয়। সেই গণ্ডগোল এতটাই বেড়ে যায় যে মঙ্গলবার ভোর রাতে এলাকার ২ টি দোকানে পর পর ভাঙ্গচুর চালায় দুষ্কৃতীরা। এই ঘটনার জেরে আজ সকাল থেকেই এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। যে দুটি দোকানে ভাঙ্গচুর করা হয় সেই দোকানের মালিকরা এই ঘটনার জেরে সমস্যায় পড়েন। দোকান ভাঙ্গচুর হওয়ায় ক্ষতির মুখে পড়তে হয় তাদের।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে প্রথমে বচসা বাধে আর তারপর একে অপরের ওপর চড়াও হয়। তার জেরেই এই ভাঙ্গচুরের ঘটনা ঘটেছে এবং খড়দা থানার পুলিশ তদন্তে নেমে যাদের গ্রেফতার করেছে তারা সকলেই তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী বলেই জানা যাচ্ছে। তবে এই ঘটনায় তৃণমূলের গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের যোগ রয়েছে বলে অভিযোগ উঠলেও তা সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন টিটাগরের প্রাক্তন পৌর প্রধান তথা টিটাগরের তৃণমূল নেতা প্রশান্ত চৌধুরী। তিনি এদিন বলেন, “যে গণ্ডগোল টা হয়েছে তা এক পাড়ার সাথে অন্য পাড়ার একটা গণ্ডগোল মাত্র। কিন্তু সেটা তৃণমূলের গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের কোনো বিষয় নয়। কিন্তু যাতে আর কোনো বড় ঘটনা না ঘটে তাই পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছি আমরা। পুলিশ তদন্ত শুরু করে তৃণমূলের ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। তবে এর সাথে রাজনীতির কোনো যোগ নেই। দুই পাড়ার দুই দল ছেলেদের মধ্যে কোনো বিষয় নিয়ে বচসা, আর তার থেকেই মারপিট, দোকান ভাঙ্গচুর হয়েছে। তবে টিটাগড় পৌরসভার ১৭ নং ওয়ার্ড এবং ২৩ নং ওয়ার্ডের দুই কাউন্সিলর চেষ্টা করছে সমস্যা মিটিয়ে দেওয়ার।”
তবে এই ঘটনার জেরে স্থানীয় বাসিন্দারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। তারা চাইছেন দুই পক্ষ নিজেদের মধ্যে সমস্যা মিটিয়ে নিক।