আমাদের ভারত,২৮ জুন: বিরোধীরা বারবার লাদাখ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রীকে বলার দাবি জানিয়ে আসছেন। রবিবার মন কি বাত অনুষ্ঠানে লাদাখ নিয়ে মুখ খুললেন মোদী। চিনকে একরকযম হুঁশিয়ারি দিয়ে তিনি বলেছেন,ভারত যেমন বন্ধু হতে জানে তেমন চোখে চোখ রেখে জবাব দিতেও জানে।
অনুষ্ঠানে মোদী বলেন, “লাদাখে প্রতিবেশী দেশকে অত্যন্ত কড়া ভাবে মোকাবিলা করেছে ভারতীয় সেনা। ওখানে যারা ভারতকে চ্যালেঞ্জ করেছিল তারা উপযুক্ত জবাব পেয়েছে। আমাদের বীর সেনাদের বলিদান ওই হামলা স্থায়ী হতে দেয়নি।”
গালওয়ান উপত্যকায় চিনা সেনাদের সঙ্গে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে কুড়ি জন ভারতীয় সেনা শহীদ হয়েছেন। আর তারপর থেকেই দেশজুড়ে চিনকে পাল্টা জবাব দেওয়ার দাবি উঠেছে।
মে মাস থেকে গালওয়ান উপত্যাকায় সীমান্তবর্তী এলাকায় চিনা ভূখণ্ডে সামরিক শক্তি বাড়িয়ে চলেছিল চিন। তিব্বতে তারা একটি রানওয়েও তৈরি করে ফেলেছে। সেখানে যুদ্ধ বিমানও মোতায়েন করেছে চিন। কিন্তু পিছিয়ে নেই ভারতও। ইতিমধ্যে লাদাখের T-90 ভীষ্ম ট্যাঙ্কার মোতায়েন করেছে ভারত। পাশাপাশি শনিবার এয়ার ডিফেন্স মিসাইলও পূর্ব লাদাখ সীমান্তে স্থাপন করেছে ভারত।
গালওয়ানে ভারতীয় জওয়ানের মৃত্যু সম্পর্কে মোদী বলেন, দেশের মানুষ জওয়ানদের আত্মত্যাগ ভুলবে না। সেনাদের হার না মানা মনোভাবই ধরা পড়েছে লাদাখে। ওইসব সেনানীদের কাছে মাথা নত করছে গোটা দেশ।
চিনের নাম না করেই এদিন বেজিংকে কড়া বার্তা দিয়েছেন মোদী। তিনি বলেছেন, “ভারত জানে কিভাবে কারো ভালো বন্ধু হতে হয়। কিন্তু কেউ যদি আমাদের সার্বভৌমত্ব ক্ষুন্ন করে তার জবাব কিভাবে দিতে হয় তাও ভারত জানে। চোখে চোখ রেখে উচিত জবাব দিতে জানে ভারত”।
মোদী বলেন, ভারত সীমান্তে নিজের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে কতটা বদ্ধপরিকর তা গোটা বিশ্ব দেখেছে। লাদাখ সীমান্তে যারা আমাদের জমিতে ঢোকার চেষ্টা করেছে তাদের উচিত শিক্ষা দিয়েছে ভারতীয় জওয়ানরা। মোদী আরও বলেন, “গোটা বিশ্বে শান্তি স্থাপনের জন্য ভারতকে মজবুত হতে হবে। আত্মনির্ভর ও শক্তিশালী হতে হবে।”