আমাদের ভারত, ঝাড়গ্রাম, ১৮ এপ্রিল: লকডাউনের জেরে চিল্কিগড়ের বানর কুলে তীব্র খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। এর ফলে খাদ্যের সন্ধানে তারা জেলার পার্শ্ববর্তী ঝাড়খন্ড ও ওড়িশা রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় হানা দিচ্ছে। ঝাড়গ্রাম জেলার চিল্কিগড়ে ডুলুং নদীর তীরে একটি ঔষধি জঙ্গলের মাঝখানে রয়েছে কনক দূর্গা মন্দির। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের মাঝখানে অবস্থিত এই কনক দূর্গা মন্দিরকে ঘিরে গড়ে গড়ে ওঠা পর্যটন কেন্দ্রটি রাজ্যের পর্যটন মানচিত্রে উল্লেখযোগ্য জায়গা করে নিয়েছে।
পর্যটকদের আকর্ষণ বাড়াতে ২০০৮ সালে এখানে ২০টি হনুমান ছেড়ে দেয় রাজ্য পর্যটন দপ্তর। সেই সংখ্যাটি এখন বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ২০০ তে। কিন্তু চিল্কিগড়ে পর্যটকের সংখ্যা দিনের পর দিন বাড়তে থাকায় এতদিন খাদ্য সংকটে পড়তে হয়নি বানরকুলকে। পর্যটকদের দেওয়া খাবার খেয়ে দিব্যি কেটে যাছিল তাদের। কিন্তু লকডাউনে যানবাহন চলাচল বন্ধ সহ মানুষের গৃহবন্দি হওয়ার কারণে পর্যটন কেন্দ্রটি এখন জনমানব শূন্য। প্রশাসন কিম্বা কোনও সংস্থা তাদের এই চরম খাদ্য সংকটের সময় পাশে না থাকায় মহাবিপাকে পড়েছে বানরকুল।
খিদের জ্বালায় তারা জঙ্গল থেকে বেরিয়ে চলে যাচ্ছে জেলার জালার, ঝাড়্গ্রাম, নয়াগ্রাম, গোপীবল্লভপুর, বিনপুর, শিলদা, দহিজুড়ি, গিধ্ণী সহ ঝাড়খণ্ড ও ওড়িশা সীমান্ত এলাকার বাজারগুলিতে। এই সমস্ত এলাকার মানুষ হনুমানগুলিকে ফলমূল শাক সবজি দিয়ে সহযোগিতা করছে। বনদপ্তরের পক্ষ থেকে মাত্র দু তিন দিন কিছুু খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছিল বলে জেলা প্রশাসন সূত্রেে জানা গেছে।