কোনো হেভিওয়েট নয়, বিজেপির প্রার্থী তালিকায় প্রাধান্য তরুণ, মহিলা, চিকিৎসক, আইনজীবী, শিক্ষিক তথা পুরোনো কর্মীদের

আমাদের ভারত, ২৯ নভেম্বর: আগেই শোনা গিয়েছিল দলের বিদায়ী কাউন্সিলরদের পুরভোটের প্রার্থী তালিকায় অবশ্যই জায়গা করে দেওয়া হবে। সেই জল্পনা মতোই কাজও হলো। পুরো ভোটে প্রার্থী করা হলো মীনা দেবী পুরোহিত, সুনিতা ঝাওয়ারের মতো দলের বহুদিনের পুরনো কর্মী ও কাউন্সিলরদের। তবে এবারে বিজেপির প্রার্থী তালিকায় প্রাধান্য পেয়েছে তরুণ ও মহিলারা।

২২ নম্বর ওয়ার্ড থেকে মীনা দেবীর প্রার্থী হয়েছেন। এবার জিতলে টানা ছয়বার কাউন্সিলর হবেন তিনি। বিধানসভা নির্বাচনের জোড়াসাঁকো কেন্দ্রের প্রার্থী ছিলেন মীনা দেবি। একই রকমভাবে ৪২ নম্বর ওয়ার্ড থেকে প্রার্থী হয়েছেন বিজেপির পাঁচবারের কাউন্সিলর সুনিতা ঝাওয়ার। ১০২ নম্বর ওয়ার্ড থেকে প্রার্থী করা হয়েছে ইন্দিরা গঙ্গোপাধ্যায়কে।

তবে বিজেপির প্রার্থী তালিকায় সবথেকে বেশি উল্লেখযোগ্য নাম সজল ঘোষ। বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। পুজোর আগে মুচিপাড়া থানা এলাকায় একটি গোলমালে উস্কানি দেওয়ার অভিযোগে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তারপর থেকেই বঙ্গ রাজনীতিতে তাঁর নাম বিশেষভাবে আলোচিত হতে থাকে।

বিজেপি যে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করেছে তাতে তরুণ মুখ রয়েছে ৪৫টি এবং মহিলা রয়েছেন ৫০ জন। আইনজীবী রয়েছেন ৫ জন, চিকিৎসক রয়েছেন ৩ জন, শিক্ষক রয়েছেন ৪জন।

পুরভোটে সবার আগে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে বামফ্রন্ট। তারপরে তৃণমূল প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করে। এরপর রবিবার হেস্টিংসের দলীয় কার্যালয়ে প্রায় দিনভর রুদ্ধদ্বার আলোচনার পর প্রার্থী তালিকা চূড়ান্ত করেন বিজেপির বঙ্গ নেতৃত্ব।

এলাকায় ভালো কাজ করেছেন, দলের নিয়মিত এমন নেতাদেরই প্রার্থী করার ক্ষেত্রে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে বলে জানা গিয়েছিল আগেই। বিধানসভা নির্বাচনের আগে তৃণমূল বা অন্য দল ছেড়ে বিজেপিতে এসেছে এমন কয়েকজন প্রার্থী তালিকায় জায়গা করে নিলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দলের পুরোনো কর্মীরা প্রাধান্য পেয়েছে প্রার্থী তালিকায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *