রাজেন রায়, কলকাতা, ১৩ মে: পশ্চিমবঙ্গের অর্থনীতির
মূল ভিত্তি তার কৃষিজমি। এ রাজ্যে শিল্প বরাবরই রূঢ় পথে চললেও কৃষিতে যথেষ্ট মসৃণ এ রাজ্যের অর্থনীতির ভিত। তাই করোনা মহামারীতে গ্রামীণ অর্থনীতি সচল করার লক্ষ্যে রাজ্যের কৃষিজমি যাতে পুরোমাত্রায় কাজে লাগানো যায়, তার জন্য বুধবার নবান্নে ‘মাটির সৃষ্টি’ নামে একটি বিশেষ প্রকল্পের ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী।
প্রসঙ্গত, রাজ্যের বিশেষ ৬টি জেলায় ৫০ হাজার একর জমিতে আড়াই লক্ষ মানুষের ভবিষ্যত জড়িয়ে রয়েছে। এই সমস্ত জমিকে ঘিরে ‘মাইক্রোপ্ল্যানিং’এর হিসেবে নতুন এই ‘বৈপ্লবিক কর্মসূচি’ ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যে জমিতে সচরাচর চাষ হয় না অর্থাৎ অনুর্বর সেখানে অন্য চাষে উৎসাহ দেওয়া হবে। বাঁকুড়া, বীরভূম, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া ও পশ্চিম বর্ধমান– এই ছ’টি জেলায় হর্টিকালচার, পশুপালন, মাছ চাষ প্রভৃতির মাধ্যমে মাটির সৃষ্টি প্রকল্পের রূপায়ণ হবে।
তিনি জানান, স্থানীয় মানুষদের ১০-২০ একর পতিত জমি ও সরকারি খাস জমিকে একসঙ্গে দেওয়া হবে কো-অপারেটিভ হিসেবে। যুক্ত থাকবে স্বনির্ভর গোষ্ঠী, মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠীগুলি। জল সম্পদ দফতরের আওতায় এই প্রকল্পটি হবে। সমবায়ের মাধ্যমে পণ্য উৎপাদন করা হবে। এই প্রকল্পের ক্ষেত্রে কোনও ঠিকাদার সংস্থা নিয়োগ হবে না। স্থানীয় মানুষদের নিয়েই কাজ করা হবে।