পিএফআইয়ের ভয়াবহতা নিয়ে সতর্ক করলেন তথাগত রায়

আমাদের ভারত, কলকাতা, ২৪ সেপ্টেম্বর: পিএফআইয়ের (পপুলার ফ্রন্ট অফ ইণ্ডিয়া) ভয়াবহতা নিয়ে সতর্ক করলেন প্রাক্তন রাজ্যপাল তথাগত রায়।

শনিবার তিনি টুইটার ও ফেসবুকে ইংরেজিতে লিখেছেন, “১৯৪৬ সালে ডঃ শ্যামা প্রসাদ মুখোপাধ্যায় তাঁর বাংলা ডায়েরিতে লিখেছিলেন, “হিন্দু-মুসলিম সমস্যার সমাধান গৃহযুদ্ধ ছাড়া হবে না। আমরা গৃহযুদ্ধ চাই না। কিন্তু অন্য পক্ষ যদি প্রস্তুত হয় এবং আমরা তা না করি, আমাদের মূল্য দিতে হবে।”

তথাগত লিখেছেন, কেউ শ্যামা প্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের কথা শোনেনি এবং আমরা হিন্দুরা মূল্য দিয়েছি। প্রথমে গ্রেট ক্যালকাটা কিলিংস এবং নোয়াখালি হত্যাকাণ্ড, ১৯৪৬ সালে। তারপর ১৯৪৭ সালের দেশভাগ। তারপর ১৯৫০ সালে পূর্ব পাকিস্তানে ব্যাপক হিন্দুবিরোধী গণহত্যা এবং তারপর ১৯৭১ সাল পর্যন্ত।

তারপর বাংলাদেশ থেকে ছিটকে যাওয়া। এবং এখন জাতীয় বিরোধী পিএফআই। পিএফআইকে ছোট করে দেখা উচিত নয়। কেরলের মুভাট্টুপুঝায় অধ্যাপক টি জে জোসেফের কব্জি কেটে ফেলার মাধ্যমে তাদের ভয়াবহতা প্রকাশ পেয়েছে। তারা জিহাদের মন্ত্রে বিশ্বাসী, যার মানে তারা তাদের নিজেদের ছাড়া অন্য কোনও ধর্মের অস্তিত্বে বিশ্বাস করে না। এটা গৃহযুদ্ধ।

পিএফআই সম্পূর্ণরূপে এবিটি এবং জেএমবি বাংলাদেশ দ্বারা সমর্থিত। এটি একটি সম্পূর্ণ চক্র যা বাংলা এবং অসম থেকে কেরালা পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছে। তাই পিএফআই বন্ধ করতে আপনাকে এই চক্রটি কেটে ফেলতে হবে। প্রচুর বাংলাদেশী পিএফআই সদস্য এখানে কাজ করছে এবং নোংরা কাজ করছে এবং এটি একটি গুরুতর সমস্যা।“

প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার দেশজুড়ে পপুলার ফ্রন্ট অব ইন্ডিয়া এবং সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টি অব ইন্ডিয়ার বিরুদ্ধে যৌথভাবে অভিযান চালায় এনআইএ ও ইডি। সেই অভিযানে প্রায় ১১ টি রাজ্য থেকে ১০০ জনের বেশি সদস্যকে গ্রেফতার করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উপর হামলার ছক কষেছিল পপুলার ফ্রন্ট অব ইন্ডিয়া। পটনায় নরেন্দ্র মোদীর জনসভায় হামলা করার পরিকল্পনা ছিল তাদের। এছাড়াও উত্তরপ্রদেশের বেশ কিছু সংবেদনশীল জায়গায় হামলা চালানোর জন্য বিস্ফোরক পদার্থ ও অস্ত্রশস্ত্র জোগাড়ের অভিযোগ উঠেছে পিএফআই-র বিরুদ্ধে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *