অমরজিৎ দে, ঝাড়গ্রাম, ৫ সেপ্টেম্বর: সোমবার কলকাতায় শিক্ষক দিবসের অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভার্চুয়ালি ঝাড়গ্রামের সাধু রামচাঁদ মুর্মু বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ভবনের উদ্বোধন করেন। মঙ্গলবার থেকেই ঝাড়গ্রামের জিতুশোল এলাকায় বিশ্ব বিদ্যালয়ের নতুন ভবনে পঠন পাঠন শুরু হয়ে যাবে।
এদিন বিশ্ব বিদ্যালয়ের নতুন ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের স্বনির্ভর গোষ্ঠী ও স্বনিযুক্তি দফতরের স্বাধীন দায়িত্ব প্রাপ্ত মন্ত্রী ও বন দফতরের রাষ্ট্র মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা, ঝাড়গ্রাম জেলা, পরিষদের সভাধিপতি মাধবী বিশ্বাস, ঝাড়গ্রামের জেলা শাসক সুনীল আগরওয়াল, ঝাড়গ্রামের সাধুরাম চাঁদ মুর্মু বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অমিয় কুমার পান্ডা, ঝাড়গ্রাম জেলা পুলিশ সুপার অরিজিৎ সিনহা, ঝাড়গ্রামের মহকুমা শাসক বাবুলাল মাহাতো, বিধায়ক দুলাল মুর্মু, প্রশাসনিক বিভিন্ন দফতরের আধিকারিক ও বিভিন্ন কলেজের অধ্যক্ষ, অধ্যপক সহ প্রমুখ।
এদিন নতুন ভবনের দ্বারোদঘাটন অনুষ্ঠানের পাশাপাশি শিক্ষক দিবসে ঝাড়গ্রাম জেলার দুই শিক্ষা রত্ন সুখময় পান্ডা ও অসীম কুমার গঙ্গোপাধ্যায়কে পুরস্কৃত করা হয়। তাদের হাতে স্মারক তুলে দেওয়া হয়।পাশাপাশি বিভিন্ন কলেজের অধ্যক্ষদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
আগামী ২০২৩ সালে আরো আটটি বিভাগ চালু হবে বলে বিশ্ব বিদ্যালয়ের পক্ষে জানানো হয়েছে। বাংলা, ইতিহাস, ভূগোল, লাইব্রেরি সায়েন্স, মিউজিক৷ নিউট্রিশন, কুড়মালি ভাষা সংস্কৃতি ও ঝুমুর এই বিষয় গুলি খোলা হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেভলপমেন্ট অফিসার ও ডিন অফ সুডেন্ট ওয়েল ফেয়ার তপন কুমার জানা বলেন, “মোট ১২২ কোটি বরাদ্দ টাকায় বিশ্ব বিদ্যালয়ের কাজ হচ্ছে।বর্তমানে এই ভবনে প্রশাসনিক ও অ্যাকাডেমিক দুটি কাজ চলবে। আগামী বছর থেকে আরো আটটি বিভাগ চালু হবে। “চারতলা বিশিষ্ট এই পুরো ভবনটি ঝাঁ চকচকে। ক্লাস রুম থেকে শুরু করে কমন রুম, প্রশাসনিক কাজের ঘর সবটাই অত্যন্ত সুন্দরভাবে গোছানো হয়েছে।
মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা বলেন, “আমাদের জেলার ছেলে মেয়েদের আর বাইরে যেতে হবে না।জঙ্গল মহলকে এই উপহার দেওয়ার জন্য রাজ্যের মুখ্য মন্ত্রীকে কৃতজ্ঞতা জানাই। ছেলে, মেয়েরা লেখা পড়া করে এগিয়ে যাবে। তারা জঙ্গলমহলের মুখ উজ্বল করবে। “