সুশান্ত ঘোষ, বনগাঁ, ১৩ সেপ্টেম্বর: পঞ্চায়েত প্রধানের পদ থেকে ইস্তফা দিলেন বনগাঁ ব্লকের ছয়ঘরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান প্রসেনজিৎ ঘোষ। সোমবার সকালে অফিস খুলতেই বনগাঁর বিডিও অফিসে গিয়ে তিনি তাঁর এই ইস্তফাপত্র জমা দেন। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বনগাঁর রাজনৈতিক মহলে তোলপাড় শুরু হয়েছে।
তৃণমূল সূত্রের খবর, সোমবার সকালে অফিস খোলার পর পরই নিজে হাতে ইস্তফাপত্র নিয়ে বনগাঁ বিডিও অফিসে হাজির হন বনগাঁ ব্লকের ছয়ঘরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান প্রসেনজিৎ ঘোষ। অফিসের এস্টাবলিশমেন্ট বিভাগে গিয়ে ইস্তফাপত্র জমা দেন। প্রধানের পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার কারণ হিসেবে ইস্তফাপত্রে তিনি তাঁর ব্যক্তিগত সমস্যার কথা তুলে ধরেছেন। এ ব্যাপারে তাঁকে টেলিফোনে যোগাযোগ করা হলেও পাওয়া যায়নি। ফলে এখনও পর্যন্ত তাঁর ব্যক্তিগত প্রতিক্রিয়া জানা যায়নি।
অন্যদিকে, ইস্তফাপত্র জমা দেওয়ার ব্যাপারে এদিন সকাল সাড়ে এগারোটা নাগাদ বনগাঁ ব্লক উন্নয়ন আধিকারিক অর্ঘ দত্তকে জিজ্ঞাসা করা হলে, তিনি এ ব্যাপারে তখনও পর্যন্ত কিছু জানেন না বলে জানিয়েছেন। এদিকে, হঠাৎ করে তাঁর এই ইস্তফা দেওয়ার বিষয় নিয়ে বনগাঁর রাজনৈতিক মহলে আলোচনা শুরু হয়েছে। সবার একটাই প্রশ্ন, কি এমন কারণ ঘটল, যাতে তিনি হঠাৎ করে এইভাবে নিজের পদ থেকে সরে দাঁড়ালেন ? যদিও ইস্তফাপত্র জমা দেওয়ার পরপরই তিনি বনগাঁর রামনগর রোডে দলের একটি কর্মসূচিতে অংশ নেন।
পদত্যাগপত্র জমা দেওয়ার পর এদিন সকাল ১১ টা নাগাদ প্রসেনজিৎ ঘোষ নিজের ফেসবুক পেজে তাঁর পঞ্চায়েত এলাকার মানুষের উদ্দেশ্যে পদত্যাগপত্র জমা দেওয়ার বিষয়টি ঘোষণা করেন। সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘২০১৮ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর আপনাদের আশীর্বাদে, ভরসায় ভালবাসায় এবং বাকি ১৭ জন সদস্য–সদস্যার সমর্থনে ছয়ঘরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান হিসেবে শপথ গ্রহন করেছিলাম। বিগত তিন বছর আমি আমার সাধ্যমতো চেষ্টা করেছি আনন্দে, দু:খে আপনাদের পাশে থাকার। ছয়ঘরিয়া অঞ্চলের উন্নয়নকে এগিয়ে নিয়ে যেতে দলের নির্দেশ এবং পরামর্শানুযায়ী কাজ করার চেষ্টা করেছি। আমি আমার ব্যক্তিগত কারণে প্রধান পদ থেকে পদত্যাগ করলাম। ভুল ত্রুটি মার্জনা করবেন। সকলের ভালো হোক। সকলে মিলে ভালো থাকবেন। ছয়ঘরিয়া অঞ্চল উন্নয়নের ছন্দে এগিয়ে যাক।’