আমাদের ভারত, পূর্ব মেদিনীপুর, ১১ মে: ভোট মিটতেই প্রথমে দল থেকে বহিষ্কারের পর এবার অনাস্থা প্রস্তাব। আজ অনাস্থা প্রস্তাব গৃহীত হল শহিদ মাতঙ্গিনী পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি দিবাকর জানার বিরুদ্ধে। গতবছর ২০২০-র ৭ ফেব্রুয়ারি কোলাঘাট থার্মাল পাওয়ার প্রজেক্টের আধিকারিকদের মারধরের ঘটনায় গ্রেফতার হয় শহিদ মাতঙ্গিনী পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি দিবাকর জানা। তারপর তৎকালীন জেলা সভাপতি শিশির অধিকারী তৃণমূল থেকে বহিষ্কার করে শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লক এর সভাপতি দিবাকর জানা’কে। বেশ কয়েক দিন জেল খাটার পর জামিনে মুক্ত হয় দিবাকর জানা। দল থেকে সাসপেন্ড থাকার পরেও ৯ অক্টোবর পুনরায় পঞ্চায়েত সমিতি দখল করেন দিবাকর জানা। বেশ কয়েক মাস পর পুনরায় সাসপেন্ড তুলে নেয় দল। এরপর বিধানসভা ভোট।
ভোট মিটতেই বিধানসভা ভোটের রাজ্য নেতৃত্বের নির্দেশে দল বিরোধী কাজ করার জন্য জেলা সভাপতি সৌমেন মহাপাত্র দল থেকে সাসপেন্ড করে দিবাকর জানার সহ বেশ কয়েকজন গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান ও জেলা পরিষদের সদস্যকে। গত ২৭,০৪,২০২১ তমলুক মহাকুমার শাসকের কাছে অনাস্থা প্রস্তাব আনেন ২৫ জন শহিদ মাতঙ্গিনী পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যরা। এরপর মহকুমা শাসকের কাছে নিজের পদত্যাগপত্র পাঠিয়ে দেন দিবাকর জানা। আজ শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকে ৩০ জন পঞ্চায়েত সমিতির ৩০ জন সদস্যসের মধ্যে ২৫ জন সদস্য অনাস্থা প্রস্তাবের হাত তুলে সমর্থন জানায়।