আমাদের ভারত, ১৮ অক্টোবর: আমাদের দেশে হিন্দু ধর্ম সংস্কৃতি আছে বলেই ভারতবর্ষে সেক্যুলারিজমের গল্প শোনা যায়। না হলে পেঁদিয়ে বৃন্দাবনে পাঠিয়ে দিত। বাংলাদেশের ঘটনার প্রতিবাদে বালুরঘাটে বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে হিন্দু ধর্ম ও তার উদারতার কথা তুলে ধরেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি। একই সঙ্গে তিনি নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষায়, হিন্দুদের জাগ্রত হবার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, চপ শিল্প, পাঁচশো টাকা নিয়ে কিংবা সবুজ সাথী সাইকেল নিয়ে ভুলে গেলে চলবে না। প্রতিবাদ করতে হবে। না হলে ৫০ বছর পরে আবারও পশ্চিমবঙ্গ ছেড়ে পালাতে হবে আপনার আগামী প্রজন্মকে। আর তখন এই বাংলাদেশেও আপনি আশ্রয় পাবেন না। মুর্খের স্বর্গে বাস করা আমাদের ছাড়তে হবে।
কথা সাহিত্যিক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, “বাঙালি শরৎচন্দ্র বললে মহেশ চেনে কিন্তু এই সেই শরৎচন্দ্র হিন্দু-মুসলিম সমস্যার কথা নিয়ে লিখেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, হিন্দুরা যদি জাগ্রত না হয় হিন্দু মায়ের গর্ভের হিন্দু সন্তানও সুরক্ষিত নয়। তাহলে কি আপনি শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়’কে সাম্প্রদায়িক বলবেন?” তাঁর দাবি, ভারতবর্ষে হিন্দু ধর্ম সংস্কৃতি আছে বলেই ভারতবর্ষে সেক্যুলারিজমের গল্প শোনা যায়। ইয়ে আজাদি ঝুটা হ্যায় বলা বা চিৎকার করা যায়। কিন্তু সেকুলার ভারতবর্ষে হিন্দু ধর্ম না থাকলে হিন্দু সংস্কৃতি না থাকলে আপনাদের পেঁদিয়ে বৃন্দাবন দেখিয়ে দেবে।”
আরও পড়ুন
ইদে কটা মসজিদে হামলা হয়েছে? পরমব্রতকে পাল্টা দিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার
এপ্রসঙ্গে বামপন্থীদের কটাক্ষ করে সুকান্ত মজুমদার বলেন, “বামপন্থীরা বলে আমার রক্ত লাল রক্ত ওদের লাল কিন্তু তাই যদি হবে তাহলে ভারত যখন ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র হিসেবে এখনো বজায় থাকলো তখন বাংলাদেশ-পাকিস্তান কেন তাদের ধর্ম নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে পারল না? বঙ্গবন্ধু মুজিবুর রহমান যে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন, সেই রাষ্ট্র কি করে সাম্প্রদায়িক ধর্মীয় রাষ্ট্র হয়ে উঠলো?”
আরও পড়ুন
আরওপড়ুন
সতর্কীকরণের সুরে বালুরঘাটের সাংসদ বলেন, পশ্চিমবঙ্গ বাংলাদেশের থেকে খুব বেশি দূরে নেই। পশ্চিমবঙ্গেও আজ দুর্গোৎসবে একের পর এক আঘাত নেমে এসেছে। করিমপুর, এগরায় বিসর্জনে বাধা পড়েছে। মন্ডপে হামলা হয়েছে। তাই প্রতিবাদে আমাদের সরব হতেই হবে। নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে আমাদের লড়াই করতে হবে।”